টেন্ডার নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে , জখম ১০

14th February 2020 বর্ধমান
টেন্ডার নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে , জখম ১০


টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো মন্তেশ্বরে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চান্চল্য ছড়ায় শুক্রবার বিকালের দিকে।উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিট অশান্তির ঘটনায় আহত হয় দশজন।তাদেরকে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার পরিস্থিতি বেশ থমথমে।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন ।   স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,মন্তেশ্বরের শুশুনীয়া পঞ্চায়েতটি রয়েছে পানবড়েয়া এলাকায়।নতুন ঢালাই রাস্তা ও বেশ কিছু নির্মান কার্যের জন্য শুক্রবার টেন্ডার বক্স খোলার দিন ছিলো।আর এই টেন্ডার পাওয়াকে কেন্দ্র করেই এলাকার দুই তৃণমূল নেতা নাসিরুদ্দিন খান ও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পন্চায়েতের বাইরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ও মারপিট অশান্তির ঘটনা ঘটে।একে অপরের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ তোলেন।স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পন্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ অজয় রায় বলেন,‘মন্তেশ্বর পন্চায়েত সমিতিতে থাকাকালীন অবস্থায় দুপুরের দিকে শুশুনীয়া পন্চায়েত সদস্য ও অর্থ উপসমিতির দায়িত্বে থাকা জগবন্ধু কোঁয়ার আমাকে ফোনে জানায় যে পন্চায়েতে যাবার সময় ওনাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেশ কয়েকজন আটকে রাখে।সেই খবর পেয়ে অন্চল যুব সভাপতির দায়িত্বে থাকা নাসিরুদ্দিন খান তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে তার উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন।বাঁশ ও লাঠিসোটা দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’যদিও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই তৃণমূল নেতা পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন,‘অস্বচ্ছতার সঙ্গে পন্চায়েত চালাচ্ছে প্রধান সহ স্থানীয় কয়েকজন।টেন্ডার ওপেনের দিনেই ওরা গায়ের জোরেই সবকিছু করতে যায় আর এই থেকেই অশান্তির সূত্রপাত।’খবর পেয়েই মন্তেশ্বর হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান বিধায়ক সৈকত পাঁজা।এই বিষয়ে তৃণমূলের  ব্লক সভাপতি আজিজুল সেখ বলেন,‘এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।দলের উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এই বিষৎে শুশুনীয়া পন্চায়েতের প্রধান পার্থ ঘোষ বলেন,‘টেন্ডার বাক্স খোলার দিন ছিলো আজ।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পন্চায়েতের বাইরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।পন্চায়েতের ভিতরেও বেশ কয়েকজন ঢুকে পড়ে।মারপিট অশান্তির পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।